অটোতে কইরা গ্রামের ভিতরের একটা আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়া যখন যাইতেসিলাম, তখন রাস্তার মোড়ে পূর্ণিমায় ভরা লাল চানটার লগে দেখা হয়্যা গেলো আমাগো। অটোতে ছয়জন অচেনা মানুষ আমরা কেউ কাওরে আগে কোনো দিন দেখি নাই এই সুন্দর আবছা নীল রাইতে চান্দের নিচে সবাই আমরা এখন সফর সঙ্গী। চানটারে দেখার সাথে সাথে আমার মনে একটা লাইন আইলো সেই লাইনে কইরা একটু পরে আইলো একটা ট্রেন- প্রথমে ট্রেনের আছিল ১ টা বগি আর কারো মাথায় কিছু আইসিল কিনা কে জানে! তাঁরা তো অচিনা আমার… তাগো মাথার ভিত্রে কোনো দিন হাটি নাই আমি তাগো লগে কোনো চিনা রাস্তায়। আজকেই প্রথম; সব অচিনা ল্যান্ডস্কেপ; একটু পরে লাইনে কইরা আরেকটা বগি আইসা বইলো আগের বগিটার লগে… দুই জনে কথা কওয়া শুরু করলো ফিসফাস; তাজা ফুলের ঘ্রাণে ভরপুর আছিল বাতাস পাশ দিয়া একটা কনস্ট্রাকশনের ট্রাক গেলো প্রচুর ধুলা উড়ায় বাতাসের ভিতর লোহার ঘেরান ভইরা আমাগো অটোটাও প্লাস্টিক আর ইস্টিলের তৈয়ার; চাঁদটার লগে একটু পর পর দেখা হয় আমার- আমি দেখি অন্যেরা দেখে কিনা কে জানে? দুইটা বগি অলা একটা ট্রেন কোনো এক জায়গায় পাশাপাশি বইসা আছে… মনে হয় কবিতার ইস্টিশনে- আরো বগি আইব মনে হয় তাগো সময় মত আমরা অটোতে কইরা যাইতেসি যারা চান্দের ঝিরিঝিরি নদীর নিচে দিয়া দূরে- তারাও যে যার মত রাইতের চোখে চায়া থাকে। কি এক আজব ফেনোমেনা- বাংলার গ্রামের ভিত্রে দিয়া চলতেসে অটো অথচ কেউ কাওরে চিনিনা!! ২:৪৯ ১৫.১০.২০১৯ তু.ষা.র
কবিতা ভালো লাগলেও বইলেন, পইড়েন আবার। কবিতা খুব পার্সোনাল, সোশাল, আবার খুব পলিটিক্যালো… যদি কাছের কোনো ফ্যামেলী মেম্বার বা দোস্ত বন্ধু থাকে, যার সাথে শেয়ার করলে সেও আপনার ফিলিংটার রং ধরতে পারবে, তাইলে শেয়ার কইরেন, নয়তো কইরেন না…
শেয়ারের পাশাপাশি লেখালেখিরে সাপোর্ট করতে পারেন। প্লেজ করার ব্যাবস্থা আছে। আর সাবস্ক্রাইব করতে পারেন নিউজলেটারে… যদি না করে থাকেন অলরেডি। অন্যদেরো বলতে পারেন। কারণ আমার পকেট নানান রকম লেখা আর গল্প/কবিতায় ভরা… আর প্রতি সপ্তায় পাবলিশ করি আমি… 🙂
আরেকটা ব্যাপার শেয়ার করি আপনেদের সাথে... আমার একটা কবিতার বই বাইর হইসে। ডেথ, লাভ আর পলিটিক্স নামে… রকমারিতে কিনতে পাওয়া যাইতেসে…